হানিফ আকন্দ,ত্রিশাল প্রতিনিধি:: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মানবিক আদর্শিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদের ৩৮ তম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার (২রা এপ্রিল)।ইউএনও জুয়েল আহমেদ ১৯৮৫ সালের ২রা এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল ইউএনও হিসেবে ত্রিশালে যোগদান করেন। তিনি প্রশাসনের ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার।
তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ত্রিশাল উপজেলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়াঙ্গন ও সঙ্গীতাঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর নিরলস পরিশ্রম ও মানবসেবার জন্য তিনি ‘মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছন। বিভিন্ন কর্মকান্ড ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। সৎ-সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর কর্মকান্ডে এমন প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে জনগণ আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে খুঁজে নিয়েছেন ইউএনও জুয়েল আহমেদ কে। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান। উদ্যোগ নেন দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে একটি আধুনিক জনপদ গড়ে তোলার। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় ক্রমান্বয়ে বদলে গেছে উপজেলা প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। এক কথায় বলা যায় তিনিই ত্রিশাল উপজেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। ত্রিশাল উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। শান্তির লক্ষ্যে তিনি গণশুনানির মাধ্যমে পারিবারিক কলহ-বিবাদ, জমি-জমা, রাস্তাঘাটসংক্রান্ত অসংখ্য বিরোধ নিষ্পত্তি করে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর কার্যালয় সবার জন্য উন্মুক্ত দ্বার হিসেবে খুলে রেখেছেন। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আদালত পর্যন্ত আর যেতে হচ্ছে না কাউকে। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে সব শ্রেণিপেশার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। দাপ্তরিক কাজের বাইরে সকাল-বিকাল ছুটেন ত্রিশাল উপজেলার সব প্রান্তে। কথা বলেন সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে। শোনেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। নিয়মিত খোঁজখবর নেন সমাজের অবহেলিত গরিব-দুঃখী মানুষের।তাঁর জন্মদিনে সাপ্তাহিক জনতার নিঃশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত কাগজ পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে রইলো একগুচ্ছ রক্তিম লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।