ডোপ টেস্ট করতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ ড্রাইভারদের
ইপেপার / প্রিন্ট
মাসুদুর রহমান,চাঁদপুর ব্যুরো চীফ:: ভারী যানবাহন চালকদের লাইসেন্স নবায়ন বা নতুন লাইসেন্স নিতে ডোপ টেস্ট (শরীরে মাদকের উপস্থিতি) সনদ বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন এই নিয়ম। কিন্তু পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন লাইসেন্স প্রত্যাশীরা। নমুনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে মাত্র ছয়টি। তাতেও নেওয়া হচ্ছে চাহিদার তুলনায় খুব কম নমুনা। ডোপ টেস্ট সনদ বাধ্যতামূলক করায় এখন থেকে যারা মাদকাসক্ত নন, তারাই কেবল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।লাইসেন্সপ্রার্থীদের ডোপ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হতেই দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমোদিত অনেক হাসপাতালে এখনও পরীক্ষাই চালু হয়নি বলে অভিযোগ চালকদের। আবার যেসব হাসপাতালে চালু হয়েছে তারাও নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে নমুনা নিচ্ছে না।শরীরে মাদকের উপস্থিতি আছে কিনা তা জানতে করা হয় মূত্র-পরীক্ষা। সরকারি পরিপত্রে বলা হয়েছে, ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের আলামত পাওয়া গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়ন করা যাবে না। আরও বলা হয়েছে, এই পরীক্ষা সারাদেশে সকল পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল এবং ঢাকা মহানগরীর ৬টি হাসপাতালে করা যাবে।মহানগরীর হাসপাতালগুলো হচ্ছে—ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। সরেজমিনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গেলে দেখা যায় ডোপ টেস্ট করতে আসা ড্রাইভারদের ভোগান্তি। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ড্রাইভারদের রাত্রিযাপন মূল ফটকের সামনে বাংলাদেশের ইতিহাসের ডোপ টেস্টের জন্য ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেকে ৩০ জনের বেশি ডোপ টেস্ট করা হয় না।জানা গেছে, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মূল ফটকের দারোয়ান ডোপ টেস্টের জন্য প্রতি মানুষের জনপ্রতি ১০০ টাকা করে নিয়ে সিরিয়াল লিখে রাখে। প্রথম যারা আসে ঠিক দ্বিতীয় দিন ওই মানুষের ৩০জন মানুষের ডোপ টেস্ট করানো যায় কিন্তু সেখানেও কষ্টের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ড্রাইভার ফেরত যাচ্ছে। জানা গেছে একজন ড্রাইভার চার থেকে পাঁচ দিন আসার পরেও ডোপ টেস্ট করতে পারছে না কিন্তু ভিতরে পার্সোনালি লোক থাকলে সিরিয়াল ভেঙ্গে ডোপ টেস্ট হচ্ছে। এগুলা প্রতিকার করার মত কোন মানুষ নেই বলেও জানান ড্রাইভাররা। এ বিষয়ে ড্রাইভাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
Related News
মতলব উত্তরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
মোঃ মাহফুজ আলম,মতলব উত্তর প্রতিনিধি::কুমিল্লার মতলব উত্তরে নিরাপদ সড়ক চাই দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনাRead More
গফরগাঁওয়ে বিট পুলিশিং, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আরিফুল ইসলাম, ব্যুরো চীফ (ময়মনসিংহ):: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ১নং রসুলপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নংRead More

