শিরোনাম
ত্রিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উৎযাপিতত্রিশাল মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় র‍্যালিআন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এনপিএসের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক ছাবির উদ্দিন রাজু ভৈরব কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিত্রিশালের নবাগত ইউএনওর সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভাভাওয়াল টাইগার্স ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সাথে বিএনপি নেতা রিজভীর ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময়ত্রিশালে নবনিযুক্ত ইউএনওকে উপজেলা প্রেসক্লাবের শুভেচ্ছানজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল অনুষ্ঠিতখালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় গাজীপুর সদরে বিশেষ দোয়াগাজীপুরে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াখালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিলত্রিশালে বন্ধুর হাতে বন্ধুকে হত্যা করে থানায় চাইনিজ কুড়াল হাতে নিয়ে আত্মসমর্পণত্রিশালে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী–২০২৫ উদ্বোধনত্রিশালে রাস্তার উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানরসুলপুরে কৃষক দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিতত্রিশালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবম পে-স্কেলের দাবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধনবিএনপির প্রার্থী ঘোষণা: নাটোরে দলীয় রাজনীতিতে বিভক্তিগাজীপুর সদরে দুুই শতাধিক আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি যোগ দিলেন বিএনপিতেত্রিশালে সড়কের বেহাল দশার কারণে দূর্ভোগে মসজিদ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাবিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর: আক্তার মাস্টারবাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের ভালুকা উপজেলার আহ্বায়ক কাইয়ুম ও সদস্য সচিব মকবুল
.
Main Menu

বন্ধ হতে পারে বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

জনতার নিঃশ্বাস:

বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করতে ২০১৯ সাল থেকে নতুন কলেজে এসব কোর্সের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না৷ চলতি বছর থেকে নতুন ভর্তিও বন্ধ হতে পারে৷

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটি মঙ্গলবার প্রথম বৈঠক করেছে৷ বৈঠক শেষে বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের কাজ শুরু করেছি৷ এখনো নিশ্চিত নয় যে, সব বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করা হবে কিনা৷’’

 

বেসরকারি কলেজে ১৯৯৩ সাল থেকে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের অনুমোদন দেয়া হয়৷ বাংলাদেশে এখন ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে এই কোর্স চালু আছে৷ ২০০ কলেজ সরকারি হয়ে যাওয়ায় তারা আর এর আওতায় পড়ছে না৷ কোর্সগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়৷ আর এই পর্যায়ে পাঠদানের জন্য সাড়ে চার হাজারের মতো শিক্ষক আছেন৷ কিন্তু শিক্ষকদের কেউই এমপিওভুক্ত নন৷ কলেজগুলো যে বেতন দেয়, তাই তারা পান৷ সরকারি কোনো বেতন তাদের নেই৷ ফলে করোনার কারণে তাদের অনেকেই বেতন পাচ্ছেন না৷ অনুমোদনের সময় শর্ত ছিল ওই শিক্ষকদের কলেজ থেকেই মূল বেতন দিতে হবে৷

এসব কলেজে অনার্স এবং মাষ্টার্স পর্যায়ে তিন লাখের মতো শিক্ষার্থী আছে৷ কোর্স বন্ধ হলে তাদের কী হবে তা-ও এখনো নিশ্চিত নয়৷

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি সম্প্রতি সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স আর ভবিষ্যতে থাকবে না৷ তার কথা, ‘‘আমরা সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাইনা৷ জেলায় জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে৷ সেখানেই উচ্চ শিক্ষা যারা নিতে চাইবেন, নিতে পারবেন৷’’ ওই কলেজগুলোতে ডিগ্রি পাসকোর্সের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার নানা ধরনের শর্টকোর্স চালুর কথা জানান তিনি৷ জানা গেছে, চলতি বছরেই বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্সে ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হতে পারে৷

 

জানা গেছে, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতেই মূলত যেসব বেরসকারি কলেজে শিক্ষক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই সেখান থেকে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷

তবে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের এই শিক্ষকদের নানা ধরনের কারিগরি শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে কলেজগুলো তাদের দিয়ে কারিগরি শিক্ষার শর্ট কোর্স চালু করতে পারে৷ কিন্তু তাদের এমপিওভুক্ত করা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়৷

বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মন্ডল বলেন, ‘‘সরকার কী কারণে বেসরকারি কলেজে অনার্স- মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করছে তা তারাই ভালো বলতে পারবে৷ তবে যদি মানের কথা বলেন, তাহলে বলবো, আমরা যারা শিক্ষক, তাদের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক হবে না৷ আমরা প্রায় সবাই ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছি৷ নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷’’

তার দাবি, ‘‘সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন আমাদের যেন এমপিওভুক্ত করা হয়৷ আমরা এই করোনায় কলেজ থেকে বেতন পাচ্ছি না৷ মানবেতর জীবন যাপন করছি৷’’

আর বেসরকারি কলেজ শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তফা কামাল বলেন, ‘‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে ছাত্ররাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তারা তাদের কোর্স কোথায় শেষ করবে? আর প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে কলেজ আছে সেগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ হলে তারা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে৷’’

তবে কতগুলো বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করা হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ এ ব্যাপারে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের সুপারিশের ওপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷ কমিটির পরামর্শে সব বেসরকারি কলেজে কোর্স বন্ধ না-ও হতে পারে৷ কমিটির প্রধান অধ্যাপক মশিউর রহমান জানান, তারা একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে চান৷ ছাত্র-শিক্ষকরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন সেটা বিবেচনায় রেখেই শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছেন বলে দাবি করেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘ওইসব প্রতিষ্ঠানের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের বেতন সরকার দেবে বা তাদের এমপিওভুক্ত করা হবে এমন কোনো কথা ছিল না৷ কলেজেরই দেয়ার কথা৷ কলেজ যাতে দেয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি৷ আর যেসব প্রতিষ্ঠানে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ হবে সেখানকার শিক্ষার্থীরা অন্য কলেজে কীভাবে তাদের কোর্স শেষ করতে পারে তারও উপায় বের করার চেষ্টা করছি৷’’

কমিটি এখন ওই কলেজগুলোর অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষার মান পর্যালোচনা করবে৷ তারা প্রয়োজন হলে সরেজমিনেও দেখতে যাবে৷ যেসব কলেজের মান ভালো, সেখানে হয়ত কোর্স চালু রাখা যাবে৷

তবে কমিটির প্রধান লক্ষ্য হলো, ওইসব কলেজে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি শিক্ষা চালু করা৷ এজন্য তারা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দিতে চান৷ আর এই করোনার সময়ে সেটা অনলাইনেও হতে পারে৷ তাহলে শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে না, ছাত্ররাও কারিগরি ও আইটি শিক্ষার সুযোগ পাবে৷

কমিটিতে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, মন্ত্রণালয় ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা আছেন৷ অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু আছে এরকম দুটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষও আছেন কমিটিতে৷

অধ্যাপক মশিউর রাহমান বলেন, ‘‘আমরা উচ্চ শিক্ষার মান বজায় রাখতে আশা করি একটি সঠিক পথ বের করতে পারবো৷’’

সূত্র: দৈনিক শিক্ষা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *