জনতার নিঃশ্বাস প্রতিবেদন:: গাজীপুরের সিংহপুরুষ প্রয়াত মন্ত্রী ও মেয়র আলহাজ্ব অধ্যাপক এম এ মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করা শাহাবুদ্দিনের রাজনীতিতে ৪ দশক পেরিয়ে গেলেও ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়।  মেধা,যোগ্যতা আর নেতাকর্মীদের ভালোবাসাকে পুঁজি করে বিএনপির দুঃসময়েও বটবৃক্ষ হয়ে হাল ধরে রেখেছিলেন গাজীপুর সদরের ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির। আগলে রেখেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীদেরও। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যখন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত,নিপীড়ন ও দমন পীড়নের শিকার ঠিক সেসময় তিনি ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে। তাঁর সময়ে ধানের শীর্ষ প্রতিক নিয়ে ভাওয়ালগড় ইউনিয়নে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন বর্তমান সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভাওয়ালগড় থেকে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বিএনপি মনোনীত প্যানেল। মেধা,যোগ্যতা আর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জনপ্রিয় এই বিএনপি নেতা নিজের জীবনের সোনালী সময় পুরোটা ব্যয় করেছেন বিএনপির রাজনীতিতে। জেল,জুলুম আর পলাতক জীবনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আর্থিক ভাবেও। নির্যাতন কিংবা প্রলোভন কোন কিছুই জিয়াউর রহমনের আদর্শ থেকে টলাতে পারেনি বিএনপির এই ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকে। বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিনের রাজনৈতিক জীবনও বর্ণাঢ্য। রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থেকে পালনও করেছেন সফলতার সাথেই। সাহাব উদ্দিন  বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী সাবেক মেয়র আলহাজ্ব অধ্যাপক এম এ মান্নানের হাত ধরে  ১৯৮১ সালে টঙ্গী সরকারি কলেজ থেকে  রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৯১ সালে বৃহত্তর মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথেই। পরে তিনি  গাজীপুর সদর উপজেলার যুবদলের প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে  ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত  বৃহত্তর মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব  পালন করেছেন বিএনপির এই ত্যাগী নেতা। এরপর তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বিএনপির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  এছাড়াও ১৯৯৮ সাল  থেকে ২০০৯  সাল পর্যন্ত  গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত  মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং বৃহত্তর গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি । বিএনপির সবচেয়ে দুঃসময় অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত  ভাওয়াল গড় ইউনিয়ন বিএনপির  প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ ২০২৪সালে শেখ হাসিনা পতনে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।প্রায় ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে শক্তিশালী করতে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা দুঃসময়ের সাহসী কান্ডারি বিএনপির এই নেতা। বিএনপির বিগত সময়ে সকল আন্দোলন- সংগ্রামে দুর্দিনে বিএনপি সহ সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির সহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে একত্রিত রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী ভূমিকায় রেখেছেন বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিন। দলের যে কোনো বিপর্যয়ের সময় রাজপথ থেকে শুরু করে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখ সারিতে তিনি ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন । পাশাপাশি দলের দুঃসময়ে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ হামলা-মামলায় শিকারও হন তিনি । বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ১৬ বছর দলের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে পাশে থেকে বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিন দিয়েছেন সাহস। কারাবন্দী নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারসহ দলের পাশে ছিলেন তিনি। শাহাব উদ্দিন বিএনপির পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নির্দেশনায় বিএনপির সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে। তিনি দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ও দুঃসময়ে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির হাল ধরে মাঠে ছিলেন সক্রিয়। দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। এবার এই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের একাধিক নেতা জানান, শাহাব উদ্দিন ভাই নিজের জীবনের পুরোটা সময় দলের জন্য উৎসর্গ করে দিলেও বিন্দুমাত্র প্রতিদান চাননি তিনি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিজ্ঞ নেতৃত্বের প্রয়োজন ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির।  যেই কারণে দীর্ঘদিনের মাঠ পর্যায়ে রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা,ত্যাগ, মেধা ও যোগ্যতার বিচার করে জনপ্রিয় বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিনকেই ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বাক নির্বাচিত করার। এতে শক্তিশালী ইউনিট হবে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন বিএনপি বলেও জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।