মঙ্গলবার , ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ইং || ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৫শে জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী

ত্রিশাল মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় র‍্যালি

প্রকাশিত হয়েছে-

হানিফ আকন্দ,ত্রিশাল প্রতিনিধি:: ৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল মুক্ত দিবস। দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে।৮ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে আক্রমণ চালায় থানার ঘাঁটিতে। রাতভর সম্মুখ যুদ্ধের পর ৯ ডিসেম্বর ভোররাতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল ত্রিশাল। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নির্দেশনা আসে পাকিস্তানি ক্যাম্প আক্রমণ করে ত্রিশাল থানা দখলের। মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে আক্রমণ করেন থানা ঘাঁটিতে। ১১ নম্বর সেক্টরের এফ জে সাব-সেক্টর আফসার বাহিনীর কমান্ডার আইয়ুব আলী, টুআইসি আব্দুল বারী মাস্টার ও ভালুকার মেজর আফসার বাহিনীর নাজিম উদ্দিন কমান্ডারের নেতৃত্বে গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। মুক্তিবাহিনীর কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় হানাদার বাহিনী। রাতভর প্রাণপণ লড়াইয়ের পর ওই সম্মুখযুদ্ধে ৯ ডিসেম্বর ভোররাতের মধ্যেই দখলে আসে ত্রিশাল থানা। পরে ত্রিশাল ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদাররা। ত্রিশাল মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ (৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠল ত্রিশাল উপজেলা। দিনটি উদযাপন করতে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয় এক বর্ণাঢ্য ও মনোজ্ঞ বিজয় শোভাযাত্রা (*র‌্যালি*)। স্বাধীনতা-চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত এই র‌্যালিটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পুরো পথজুড়ে ছিল বিজয় ধ্বনি, জাতীয় পতাকা আর উৎসবের আমেজ, যা পথচারীদেরও আকর্ষণ করে।এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুর ইসলাম।বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মোমেন সহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস যোগ করে। শোভাযাত্রাটি পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হওয়ার পর, উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজন করা হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা। এতে বক্তারা ত্রিশালের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস ও শহীদদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।এই বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে ত্রিশালের জনগণ আরও একবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।