ছাবির উদ্দিন রাজু, বিশেষ প্রতিনিধি::
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত ১১.৫০ ঘটিকায় র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প ও ময়মনসিংহ সদর কোম্পানীর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চাঞ্চল্যকর সোনায়েত উল্লাহ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মোঃ রেজাউল করিম শামীম(৪৫), পিতা-মতিউর রহমান, স্থায়ী সাং-সিংরইল, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানাঃ সাং-নিউটাউন (মর্তুজা মিয়ার বাড়ির কেয়ারটেকার), থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জ তার নান্দাইলের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৩/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২৩.৫০ ঘটিকায় নান্দাইল এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য যে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন, নিউটাউন এলাকার মৃত আঃ করিম মিয়ার ছেলে মোঃ সোনায়ত উল্লাহ(৪১) গত ২১/০২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে গাজীপুর জেলা কারাগার হতে জামিনে ছাড়া পেয়ে আনুমানিক ১৮.০০ ঘটিকায় বাড়িতে আসেন এবং রাত ২৩.০০ ঘটিকায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ০৪.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের ছেলে আলভী জানতে পারে যে তার বাবা ভৈরব থানাধীন নিউটাউন সাকিনস্থ রেজাউল করিম, শামীমের তত্ত্বাবধানে থাকা মর্তুজা মিয়ার বাড়ির (সাবেক অনির্বাণ স্কুল) ০৩ নং কক্ষে গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরবর্তীতে তারা ভিকটিম সোনায়েত উল্লাহকে সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ভৈরবে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে মোঃ রেজাউল করিম, শামীম পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে মৃতের ছেলে রেহানুর রহমান আলভী(২২) বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা ভৈরব থানার মামলা নং-৪৬,