অর্থনৈতিক মন্দার আভাস : শ্রমজীবী মানুষের জন্য সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনার বিকল্প নেই


হাফিজুর রহমান::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং সে কারণে সরকার ইতোমধ্যেই আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
এর আগে বিশ্বব্যাংকও তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিলো যে বিশ্ব অর্থনীতি ২০২৩ সালের দিকে মন্দার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
মূলত দু বছরের করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরেই বিশ্বে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যা মোকাবেলায় দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার হিমশিম খাচ্ছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক অর্থনীতির এ হালের জন্য এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ আর পরাশক্তি গুলোর নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জমি পতিত না রেখে চাষাবাদে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা যে আগামী বছর মারাত্মক হতে পারে তেমন আশঙ্কা শুধু প্রধানমন্ত্রী যে একা করেছেন তেমন নয়, বিশ্বের অনেক নামিদামি অর্থনীতিবিদ এবং আর্থিক খাতের বিশ্লেষকও একই ধরনের আশঙ্কা ব্যক্ত করে আসছেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এই মন্দার বিষয়টি পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়া এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে সেভাবে আলোচনাই হয় না। কিছু মিডিয়ায় শুধু উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কথাই প্রচার করা হয়। এবারের অর্থনৈতিক মন্দার পেছনে আছে রাজনৈতিক কারণ। ফলে এবারের মন্দার ধরন একটু ভিন্ন। সাধারণত তিনটি খাতের অধোগতি দিয়ে এখানকার অর্থনৈতিক মন্দা বিচার করা হয়ে থাকে। প্রথমত, উচ্চ বেকারত্বের হার। দ্বিতীয়ত, বাড়ির মূল্যের অস্বাভাবিক দরপতন এবং শেয়ার মার্কেটে ধস। এক রহস্যজনক কারণে এই তিনটি খাতে এখনো সেভাবে খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। এখনো সেভাবে চাকরিচ্যুতি শুরু হয়নি, যদিও ফেসবুক এবং গুগলসহ অনেক বড় কম্পানি কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামী বছর সবচেয়ে খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। ক্রমাগত সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বাড়ির মূল্যে কিছুটা স্থিতি অবস্থা বিরাজ করলেও সেভাবে দরপতনের ঘটনা এখনো ঘটেনি। বাড়ির মূল্যে ধস না নামলেও সেই অবস্থাও যে আগামী বছর নাগাদ সৃষ্টি হতে পারে, তা বেশ আঁচ করা যায়। কারণ একদিকে চাকরিচ্যুতির ঘটনা এবং অন্যদিকে উচ্চ সুদের হারের কারণে অনেকের মর্টগেজ বা ব্যাংকঋণ নবায়ন করা সম্ভব হবে না। ফলে এর সমষ্টিগত প্রভাবে বাড়ির মূল্যে বড় ধরনের দরপতন হওয়াই স্বাভাবিক। আর স্টক মার্কেটের কথা আলোচনা না করাই ভালো। কেননা এখন শেয়ার ইনডেক্স আর অর্থনীতির উত্থান-পতনের ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করে না। এই মার্কেট যে কখন, কিভাবে ওঠানামা করে তা কোনো বিশ্লেষণেই ধরা পড়ে না। যখন মার্কেট বাড়ার কথা তখন কমে, আবার যখন কমার কথা তখন বাড়ে। যেমন—করোনা মহামারির সময় বিশ্ব যখন প্রায় থমকে ছিল তখন পশ্চিমা বিশ্বের স্টক মার্কেট প্রথমে কিছুটা কমে পরে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আবার বর্তমানে চতুর্দিকে মন্দাবস্থা বিরাজ করছে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে সব কম্পানিই তাদের ভবিষ্যৎ লভ্যাংশ হ্রাস করেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্টক মার্কেটে স্বাভাবিক নিয়মে দরপতন হওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় কখনো শেয়ারবাজার অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বমুখী, আবার কখনো নিম্নমুখী। আসলে শেয়ারবাজার এখন কিছু ফান্ড ম্যানেজার, হেজ ফান্ড এবং বিশ্বের ১ শতাংশ অতি ধনাঢ্য ব্যক্তির দখলে। তাই এখানে আর শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক নিয়ম কাজ করে না। ফলে স্টক মার্কেটের গতিবিধিকে এখন আর অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের ব্যারোমিটার হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। তার পরও আর্থিক খাতের বিশ্লেষকদের মতে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নেতিবাচক প্রভাব, হাউজিং মার্কেটের দরপতন এবং চাকরিচ্যুতির প্রভাবে আগামী বছর স্টক মার্কেটে দরপতন হতে বাধ্য। অর্থনীতির এসব মৌলিক বিষয় বিবেচনা করলে আগামী বছর আসলেই ভয়ংকর অর্থনৈতিক মন্দার বছর হবে বলেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। একই আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন বিশিষ্টজনরা।
যদিও এই অর্থনৈতিক মন্দার কেন্দ্রবিন্দু হবে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু এর প্রভাব পড়বে সমগ্র বিশ্বে, যা থেকে আমাদের দেশও বাদ যাবে না। এ কথা অনস্বীকার্য যে আমাদের দেশের অর্থনীতির কাঠামো এবং মৌলিক ভিত্তি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ কারণেই এই মন্দার প্রভাব সেভাবে হয়তো দেখা যাবে না। তবে কিছু খাত মারাত্মক ধাক্কা খেতে পারে। যেমন—আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য, যা মূলত তৈরি পোশাকনির্ভর। অথচ পশ্চিমা বিশ্বে মন্দা দেখা দিলে মানুষ প্রথমেই পোশাক ক্রয় কমিয়ে দেয়। ফলে আমাদের দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা কম অর্ডার পাবেন এবং এর ফলে তাঁদেরও চাকরিচ্যুতির মতো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এমনটা ঘটলে একদিকে দেশে বেকারত্ব আরো বেড়ে যাবে, অন্যদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে। এ অবস্থা মোকাবেলায় এখনই রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে অপ্রচলিত দ্রব্যসামগ্রী রপ্তানি ত্বরান্বিত করতে হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদেশে অপ্রচলিত দ্রব্যের রপ্তানির সুযোগ অবারিত হয়েছে। যেমন—পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ, প্যাকেজিং বক্স, প্লাস্টিক কনটেইনার, বিভিন্ন ধরনের বেকারি আইটেম, আমসহ কিছু ফলমূল, যেগুলো এখন তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম থেকে আসছে, বিভিন্ন ধরনের মসলাসহ আরো অনেক আইটেম খুব সহজেই রপ্তানি করা সম্ভব। এখানে বলে রাখা ভালো, এর অনেক কিছুই আমাদের দেশ থেকে এসব দেশে আসছে, কিন্তু খুবই সীমিত আকারে প্রধানত বাংলাদেশি কমিউনিটির চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এখানকার মূলধারার জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এসব পণ্যের রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ জন্য একদিকে যেমন স্বল্প পরিমাণের রপ্তানি বিধি শিথিল ও আধুনিক করতে হবে, অন্যদিকে তেমনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের রপ্তানি কাজে নিয়োজিত করতে হবে। উল্লেখ্য, আমাদের প্রতিবেশী দেশ থেকে ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকরা এভাবেই প্রচলিত পণ্য রপ্তানি করে আসছেন।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। বর্তমানে করোনা ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থা আবার ডলারের সাথে টাকার সমন্বয় হচ্ছে না। অর্থনীতিতে এইটিকে মুদ্রাস্ফীতির মতো অবস্থাও বলা যেতে পারে। ঠিক এই সময়ে এদেশের শ্রমজীবী মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতেই হিমশিম করতে হচ্ছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারকে কাটাতে হচ্ছে মানবেতর জীবন। এরই মধ্যে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের জন্য অর্থনৈতিক মন্দার বার্তাটি খুবই দুঃখজনক সংবাদ। রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও দেশের ভিতরেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও সরকারি আমলাদের জন্য নাগরিক জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে সরকারের বাজেটের একটি বড় অংশই শ্রমিক শ্রেণির মানুষের কথা থাকে না। সরকার যেভাবে পরিকল্পনা করেন স্থানীয় সরকার ও আমলাদের দূর্নীতি কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়না। বৈশ্বিক এই অর্থনৈতিক মন্দায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে শ্রমিক শ্রেণি। তাই সরকারের সবার আগে শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। তাদের কে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে আওতায় এনে তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।প্রথমেই আমাদের মেনে নিতে হবে যে, মুদ্রাস্ফীতি ঘটে ইতোমধ্যে সিঁড়ির দশ ধাপের তিন ধাপে চলে গেছে। অর্থনীতির ভাষায়, মুদ্রাস্ফীতি সাধারণত দুই পদ্ধতিতে ঘটে। এর একটাকে বলা যায় দারিদ্র্যজনিত মুদ্রাস্ফীতি, আরেকটি চাহিদাজনিত মুদ্রাস্ফীতি। ফলে এ দুই পদ্ধতিতেই মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
অনেকে মনে করেন, বিনিময় হার ঠিক করে দিলে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে নিয়ে কিংবা অর্থনীতি নিম্নমুখী করে দিলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কেউ কেউ বলছেন, মূল্যস্ফীতি হলে সুদের হার বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আরেকটি ব্যাপার আলোচিত হচ্ছে যে, আমরা এখন সাশ্রয়ী অবস্থান নিয়ে এ সঙ্কট কাটাতে পারব কি না। লক্ষ রাখতে হবে, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মতো যেসব দেশ এসব করে সুফল পাচ্ছে তাদের কিন্তু মূল্যস্ফীতি কম আবার লোকাল প্রোডাকশনও বেশি।
এ অবস্থায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। এ কথা সত্য, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি সারা বিশ্বেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে-সরকারের তরফ থেকে এমনটি বলছে। তবে বাস্তবতার সঙ্গে সরকারের বক্তব্যের যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। এ অবস্থায় প্রকৃত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
বিশ্বের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি ও আর্থিক কাঠামোর করুণ পরিণতির ব্যাপারে আগেই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। এ পর্যায়ে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মন্তব্য ছিল, ‘করোনার অভিঘাতে সৃষ্ট বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা যেকোনো আর্থিক মন্দার চেয়ে খারাপ হবে।’
আমাদের অর্থনীতিতে যেসব কাঠামোগত অসঙ্গতি আছে এবং সংস্কারের অভাবে ওইসব জায়গায় কত ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করেছে সেসব বিষয়ে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতিবিদরা দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছেন। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণগুলো সরকার অনেকটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বর্তমানে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা ক্রমান্বয়ে মেনে নিচ্ছে যে অর্থনীতিতে একটি সঙ্কটপূর্ণ অবস্থা বিরাজমান। অনেকে বলছেন বিকাশমান। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এ মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং এই ঝুঁকিগুলো যদি বিকাশ লাভ করে তাহলে দেশ বড় ধরনের সঙ্কটে পড়তে পারে। তবে এ কথাও ঠিক যে, দেরিতে হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বিচ্ছিন্ন ও অপর্যাপ্ত পদক্ষেপও আমরা দেখতে পাচ্ছি।
অর্থনৈতিক এই বৈশ্বিক সংকট নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সংকট উত্তরনের নানা দিক তুলে ধরেছে। এ সময় তারা বলেছে, কৃষি উৎপাদনে জ্বালানি ও সার ব্যবহার করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে শুধু পণ্য সরবরাহে সমস্যা হয়নি, কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খাদ্য সংকট মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুতি নিতে হবে। সিপিডির মতে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সাত ধরনের সংকটে পড়েছে। সেগুলো হলো ডলার সংকট, জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। সংকটের মধ্যে ডলার, জ্বালানি, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সংকটের কারণে অন্য সংকটগুলো আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কাজেই এই সাত সংকট বাংলাদেশের সামনে অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে সিপিডি।
এ কথা অনস্বীকার্য যে আগামী বছর হবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সবচেয়ে খারাপ সময়। আর আমাদের দেশে এই মন্দার প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী যে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন, যেমন—দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি, দৈনন্দিন জীবনে সাশ্রয়ী হওয়া এবং রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া। মূলত এসবই মন্দা মোকাবেলার জন্য এই মুহূর্তে সর্বোত্কৃষ্ট পদক্ষেপ এবং সে কারণেই এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে এখন থেকেই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তারা যত দ্রুত এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ততই আগামী বছরের আশঙ্কার মন্দা মোকাবেলার কাজটি অনেক সহজ হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শ্রমিক শ্রেণির মানুষের নিরাপত্তা। তাদের খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার গুলো পূরণে সরকার কে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
লেখক:
হাফিজুর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক
সাপ্তাহিক জনতার নিঃশ্বাস পত্রিকা।
Related News

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
জনতার নিঃশ্বাস::গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সাপ্তাহিক জনতার নিঃশ্বাস, দৈনিক মুক্ত কাগজ সহ একাধিক পত্রিকায়Read More