শিরোনাম
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা: নাটোরে দলীয় রাজনীতিতে বিভক্তিগাজীপুর সদরে দুুই শতাধিক আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি যোগ দিলেন বিএনপিতেত্রিশালে সড়কের বেহাল দশার কারণে দূর্ভোগে মসজিদ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাবিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর: আক্তার মাস্টারবাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের ভালুকা উপজেলার আহ্বায়ক কাইয়ুম ও সদস্য সচিব মকবুল৩১ দফার বার্তা পৌঁছে দিতে শ্রীপুরে বিএনপির মহিলা সমাবেশগাজীপুরে বিজ এর উদ্দ্যোগে তারুণ্যের উৎসব উৎযাপিতচমক দেখাতে পারেন বিএনপি নেতা আক্তারুল আলম মাস্টারমতলব উত্তরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভাগফরগাঁওয়ে বিট পুলিশিং, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিতএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ১৫ শতাংশ হচ্ছেঅনলাইন বিজনেস অর্থনীতির চালিকাশক্তিনজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাসনাস্থল উদ্বোধনডোপ টেস্ট করতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ ড্রাইভারদের সারা দেশের মতো ভালুকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতিপ্রতারককে ধরিয়ে দিন!ধানের শীষের পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে-জয়নাল আবেদীন রিজভীত্রিশালে জুয়া ও নেশায় আসক্ত ছেলের হাতে বাবা-মা খুন মা বাবার নিজ রুমের মেঝেতে পুঁতে রেখেছিল মরদেহত্রিশালে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভানয়াপাড়ায় ঘরে ঘরে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
.
Main Menu

তামিমকে ‘তামিম সুলভ’ ব্যাটিংয়ের পরামর্শ ম্যাকেঞ্জির

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

তামিমের ক্যারিয়ারের শুরুর দিক, তার ২২ গজে আসা মানেই বাউন্ডারির ফুলঝুরি। বোলারের চোখে চোখ রেখে আগ্রাসন দেখানো। আর তাতে ওলটপালট প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ। প্রতিপক্ষকে পিছিয়ে দিয়ে বোলারদের মনোবল ভাঙাই ছিল যেন তামিমের কাজ

২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটার কথাই ধরুন। জহির খানকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মিড উইকেট দিয়ে যে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তামিম, তেমন শট শেষ কবে খেলেছেন? আবার লর্ডসে ২০১০ সালে ব্রড, অ্যান্ডারসন, ফিনদের তুলোধুনো করে ১৭ বাউন্ডারিতে যেভাবে শতক পেয়েছিলেন সেভাবে তামিম শেষ কবে খেলেছেন?

২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে তামিম ৭১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৩৫ রান। পারফরম্যান্স মোটেও সন্তষজনক নয়। তার উপর যোগ হয় তার বিদঘুটে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ। আগ্রাসন দেখানোর পরিবর্তে মন্থর ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন। উইকেটে থিতু হতে সময় নেন। পাওয়ার প্লে’তে খেলেন ডট বল। এরপর ব্যাটিংয়ে ধার বাড়াতে গিয়ে হারান উইকেট। তাতে উল্টো বাড়ত চাপ। সতীর্থদের ওপর আসত বাড়তি দায়িত্ব।

সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোরবোর্ড দেখলে বুঝা যায়। জিম্বাবুয়ের দূর্বল বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ৪৩ বলে করেছেন মাত্র ২৪ রান। বাউন্ডারি মাত্র দুটি। প্রথম বাউন্ডারি পেতে অপেক্ষা করেছিলেন ২৮ বল! আর গোটা ইনিংসে খেলেছেন ২৭ ডট বল। প্রতিপক্ষ, ব্যাটিং উইকেট সবকিছু মিলিয়ে তা কল্পনা করা যায়?

শুধু তাই নয় শেষ ১২ ওয়ানডে ইনিংসে তামির ব্যাটিং গড়, রান, স্ট্রাইক রেট খুবই দৃষ্টিকটু। রান করেছেন ২৮০, গড় ২৩.৩৩ আর স্ট্রাইক রেট ৬৭.৭৯। আধুনিক ক্রিকেটে যেখানে ওপেনারদের স্ট্রাইক রেট থাকে একশরও ওপরে সেখানে এমন স্ট্রাইক রেট নিয়ে ‘দিনের পর দিন’ ব্যর্থ হচ্ছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান!

এমন ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা কি? শোনা গিয়েছিল তামিমকে চালকের ভূমিকা পালন করতে বলেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট! দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, এক প্রান্ত আগলে খেলতে! কিন্তু ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি সাফ জানালেন, এমন কোনো ‘ভূমিকা’ তামিমকে দেওয়া হয়নি এবং তাকে তার মতো করেই খেলতে বলা হয়েছে।

সিলেটে দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে যোগ দিয়ে ব্যাটিং কোচ নীল ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘তামিম নিজে জানে তাকে কি করতে হবে। তাকে কোনো ভূমিকা দেওয়া হয়নি। এটা করে দিলে দলের ক্ষতি। আমরা কথা বলেছি। অনুভব করছি পাওয়ার প্লে’তে তার আরও দুটি বাউন্ডারি লাগবে। এজন্য তার কি ধরণের অ্যাপ্রোচ থাকা উচিত এবং কিভাবে এগিয়ে যাওয়া উচিত সেটাই আমরা করছি। ’

‘তামিমের হয়ে কেউ ব্যাট করবে না। তাকেই তার হয়ে ব্যাট করতে হবে। মন্থর কিংবা খুব দ্রুত ব্যাটিং করছে আমি বিষয়টিকে এভাবে দেখছি না। আমি দেখছি সে আমাদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ভালোমানের বোলিংয়ের বিপক্ষে তার শটগুলো দারুণ হয়। তাই বলছি পাওয়ার প্লে’তে তার থেকে আরও দুটি বড় শটের প্রত্যাশায় আছি। এরপর সে পুষিয়ে নিতে পারবে। আমরা আগেও দেখেছি সে পেরেছে। আমরা গত বছর বিপিএলে দেখেছি। সে বড় একটি শতক পেয়েছিল।’

নিজের ব্যাটিং ঠিক করার কাজটা তামিমকেই করতে হবে বলে সাফ জানালেন ম্যাকেঞ্জি। অনুশীলনে তাকে নিয়ে কাজ করছেন নিয়মিত। দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। ঠিক করা হচ্ছে ভুলভ্রান্তি। দেওয়া হচ্ছে অনুপ্রেরণা। কিন্তু মাঠে তামিমকে করতে হবে বাকি কাজ।

‘সে তার গেম প্ল্যান জানে। আমরা এখানে স্কুল মাস্টার নই। আমরা এখানে কাউকে কোনো কিছু শিখতে বলি না। কিংবা কাউকে কিছু করতে বলি না। আমরা আমাদের মত, ভাবনা ও কৌশলের পরামর্শ দিয়ে থাকি। বাকিটা খেলোয়াড়রা জানে, কিভাবে তারা সেই পরামর্শ কাজে লাগাবে। তামিম কোনো তরুণ নয় যে তাকে নিয়ে কাজ করবো। আমার ও আপনার থেকেও সে দ্রুত বুঝে কোথায় ভুল করেছে। তামিম নিজের ওপর প্রচন্ড চাপ নিয়ে নিয়েছে।’

কোথায় উন্নতি করতে হবে সেগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন ম্যাকেঞ্জি, ‘কোচ হিসেবে উন্নতির অনেক কিছু আমরা বের করতে পারি। যেমন ডট বল কমানো, বেশি বেশি দুই রান নেওয়া। ডেথ ওভারে স্কিল হিট করা। ম্যাচে কিছু জিনিস ঠিকঠাক হচ্ছে। বাকিটা আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *