শুক্রবার , ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ইং || ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৭শে জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ১৫ শতাংশ হচ্ছে

প্রকাশিত হয়েছে-

মোস্তাফিজুর রহমান(কাইয়ূম),ঢাকা:: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ অর্থ দুই ধাপে পাবেন তারা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় উপস্থিত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থ বছরে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া পাবেন। অবশিষ্ট সাড়ে ৭ শতাংশ আগামী অর্থ বছর থেকে কার্যকর হবে। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। এদিকে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে আমরণ অনশন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল সন্ধ্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মঙ্গলবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করা হবে। যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে পারবেন না, তারা প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা সদরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনশনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যদি এই অনশন চলাকালীন কোনো প্রাণহানি ঘটে, তার দায়ভার শিক্ষা উপদেষ্টাকেই নিতে হবে।’ এর আগে সোমবার শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা যথেষ্ট নয়। বিষয়টি সরকারকে বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে।’ শিক্ষকদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশ নেন। গত ১২ অক্টোবর থেকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে মিছিল এবং শাহবাগ মোড় অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ।