জনতার নিঃশ্বাস প্রতিবেদক:: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী উপজেলা গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাচন। শিল্পাঞ্চল হবার কারণে এই উপজেলায় জনসংখ্যা, ভোটার বেশি হবার পাশাপাশি সমস্যার সংখ্যাও অনেক বেশি। চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৪১.১৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে অবস্থিত গাজীপুর সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৯৪,২৯৭জন। ৮ মে হতে যাওয়া নির্বাচনে এই উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন আওয়ামীলীগ ঘরনার থাকলেও শুধুমাত্র ইজাদুর রহমান মিলন বিএনপি নেতা। যদিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারপরও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছেন বেশ জোরেশোরেই। তিনি এবার নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকে লড়ছেন। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চালানোর ক্ষেত্রে ইজাদুর রহমান মিলনের অভিজ্ঞতা অনেক দিনের। তিনি বৃহত্তর ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়ন (যেটি ভেঙ্গে পরে তিনটি ইউনিয়ন করা হয়েছে) এর চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেছে, এরপর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও বেশ সফলতার সাথেই পালন করেন। তাই স্থানীয় জনগণ মনে করছেন তার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিচালনা করতে পারবেন দক্ষ হাতেই। বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান,ভোটের মাঠের অভিজ্ঞতা উনার দীর্ঘদিনের সেই সাথে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ পরিচালনার ক্ষেত্রেও উনার রয়েছে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। সেই অবস্থান থেকে বলা যায় তিনি নির্বাচিত উন্নত ও স্মার্ট সেবা পাবে উপজেলাবাসী।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শিক্ষিত,সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইজাদুর রহমান মিলনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি। স্থানীয়দের ধারণা নির্বাচনে যেহেতু আওয়ামীলীগের প্রার্থী ৪ জন সেই কারণে তাদের ভোট ৪ ভাগে বিভক্ত হতে পারে এবং এর জন্যই ইজাদুর রহমান ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনাও খুব বেশি।