জনতার নিঃশ্বাস প্রতিবেদক:: গাজীপুর সদর উপজেলায় তথ্য সংগ্রহে বাধা দিয়ে তিন সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিন্দা,প্রতিবাদ ও তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানিয়েছে গাজীপুর সদর প্রেসক্লাব।
রোববার (২৮ এপ্রিল) গাজীপুর সদর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এই নিন্দা,প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানান।
এতে তিনি বলেন,সাংবাদিকরা জাতির দর্পণ। সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা মানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপ। মূলত বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই সারাদেশে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর এমন হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনা বেড়েই চলছে। মাইটিভির সাংবাদিক মাহবুবুল আলম,রোকনুজ্জামান ও নজরুল ইসলামের উপর যে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে তাতে সাংবাদিক সমাজ চরম ক্ষুব্দ। এর সঠিক বিচার না হলে কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত::নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী এলাকার বাইরে সভা করায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।গাজীপুরের সহকারী কমিশনার (নেজারত শাখা) ইশতিয়াক মজনুন ইফতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তিন সাংবাদিককে লাঞ্চিত করে নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, ওই নির্বাচনী সভায় শ্রীপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বরমী উচ্চ বিদ্যালয়, তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, ভাংনাহাটি বালিকা দাখিল মাদরাসা, চিনাশুকানিয়া দাখিল মাদরাসাসহ প্রায় ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার প্রধানগণ অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাই টিভির শ্রীপুর ও সদর প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি রুকনুজ্জামান ও দৈনিক তরুণ কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম লাঞ্ছিত হন। মাহাবুবুল আলম অভিযোগ করে বলেন, তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে ওই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাদের লাঞ্ছিত করে অবরুদ্ধ করে রাখে। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা উদ্ধার হন।জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইবরাহিম খলিল বলেন, সাংবাদিক অবরুদ্ধের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়।