হানিফ আকন্দ,ত্রিশাল প্রতিনিধি:: আমিরাবাড়ীর মাটি, আওয়ামীলীগের ঘাঁটি বলে মন্তব্য করেছেন ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা খান। তিনি বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খানের সুযোগ্য কন্যা।
ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ বাজারে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা খান বলেন,আমার পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও কষ্ট করেছেন এর ফলে আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ত্রিশালের সকলেই জানি আমিরাবাড়ীর মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি। আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডেই যেকোনো নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে আওয়ামীলীগ পাস করে। তাই আমি আশা করছি এবারের নির্বাচনেও নৌকা প্রতিক বিজয়ী হবে। ত্রিশালের অনেকের একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তা হলো নৌকার লোক কম তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভূয়া। যারা নৌকা করেছে তারা কোনদিনও নৌকার বাইরে যাবে না। যেহেতু আমি আপনাদের ভোটে বার বার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হই,আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেন তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে তা হলো এটা বঙ্গবন্ধুর নৌকা,জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা,এটা মাদানী সাহেবের নৌকা তাই নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হব । কিন্তু যারা মাদানী সাহেবকে পছন্দ না করেন তারা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিবেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীবান্ধব সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনরাত নারীদের উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমে করেন। ১৯৮৮ সালে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ ছিল না এখন যে মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান তাও উনার আবিষ্কার। আমি ১নং ধানীখোলা থেকে ১২নং আমিরাবাড়ী পর্যন্ত ঘুরেছি সকলের মুখে মুখে নৌকা। নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো এটা হোক আমাদের অঙ্গীকার। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন যাতে তিনি অসমাপ্ত কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারেন। আমরা ত্রিশাল থেকে মাদানী সাহেব কে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিব। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করবো।
এর আগে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে মা বোনদের কাছে নৌকা প্রতিকে ভোট চেয়ে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন।মতবিনিময় সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।