জনতার নিঃশ্বাস প্রতিবেদন:: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন গাজীপুর সদর ও শ্রীপুরের বিএনপির নেতাকর্মীরা। যার ফলে তৃণমূলে বিএনপির নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে সাধারণ মানুষের কাছে। অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু শুধুমাত্র একজন দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ’ই নন,বরং তিনি দেশের একজন সুনামধন্য চিকিৎসকও।অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ১৯৬৩ সালের ১২ মে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ভাংনাহাটি গ্রামের একটি সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের মধ্য দিয়ে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকা কালীন সময়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।  এরপর তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথেই। ২০১৩ সালে তিনি বিএনপির চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের সুনামধন্য চিকিৎসক হিসেবে আয়েসি জীবনকে ত্যাগ করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তাঁর উপস্থিতি ছিল সবার আগে। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপি ঘোষিত যেকোনো কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উতপ্ত রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন তিনি। একারণে স্বৈরাচার সরকারের রোষানলে পড়ে তাঁকে শিকার হতে হয়েছে জেল জুলুম ও নির্যাতনের।  তিনি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো ঐক্যবদ্ধ করেছেন গাজীপুর-৩ এর বিএনপি নেতাকর্মীদের।  তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল গাজীপুরের হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নেও লিফলেট হাতে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের পাশে তারেক রহমানের উপহার নিয়েও হাজির হচ্ছেন বিএনপির এই নেতা। ব্যক্তি জীবনে অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু একজন স্বচ্ছ,মানবিক ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। পেশাগত জীবনেও তিনি গরিব অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দেয়ায় ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। ছাত্রজীবনে যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে লড়েছেন ঠিক তেমনিভাবে তিনি রাজনৈতিক নেতা হয়েও এখন সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়েও থাকেন সামনের সারিতে। এই কারণে তিনি দল মত নির্বিশেষে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন,হয়ে উঠেছেন জননেতা। লাঞ্ছিত, নিপীড়িত জনতার জয়, শোষিত মানুষের একতার জয়ের লক্ষ্যাদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে করেছেন নিবেদিত। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে। দীপ্ত আলোকবর্তিকা হাতে মুক্তিকামী মানুষের অধিকার আদায়ে মিছিল স্লোগানে, প্রতিবাদ-প্রতিরোধে সর্বাগ্রে এগিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি হলেন অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।বিত্তের প্রতি মোহ না থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই এই বিএনপি নেতার। তাঁর জীবন আখ্যান কখনও গল্পের বুননে, কখনও উপন্যাসের ঢঙে। যিনি জেল-জুলুম, নির্যাতন ভোগ করে নিপীড়িত মানুষের মাঝেই মিশে গেছেন। বিপ্লবী ধারায় দখলদার হঠানোর লড়াইয়ে জীবন বাজি রেখেছেন। বিত্ত-বৈভব, সম্পদের মোহ, অবৈধ উপার্জন, বিলাসী জীবন কিছুই যাকে স্পর্শ করেনি। নিষ্পেষিত মানুষের সুখ-দুঃখের কথায় মনোনিবেশ করেন গভীর নিমগ্নতায়। দুঃখী মানুষের সমস্যা ঘোচাতে ব্যাকুল থাকেন নিজের শেষ সামর্থটুকু দিয়ে। যারা যুগে যুগে জননেতা হয়েছেন, গণ মানুষের আস্থার ঠিকানা হয়েছেন তাদের ইতিহাস অনেক লম্বা, অবর্ণনীয় ত্যাগ-তিতিক্ষার। বিএনপির পক্ষে জনমত তৈরী করতে গিয়ে জেল-জুলুম, নির্যাতন ভোগ করে নিপীড়িত মানুষের মাঝেই মিশে গেছেন। এখনো দেশে এমন অনেক নেতা রয়েছেন যাদের হৃদয় মন্দিরে শুধু বঞ্চিত মানুষের কল্যানে সাম্যের সুর ধ্বনিত হয়। তাদের মধ্যেই একজন অন্যতম অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।তিনি শৈশব থেকেই পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে মানবতার জয়গানে নিজেকে উৎসর্গ করেন। শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীরাই নয় বরং দল মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের চাওয়া অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু গাজীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দুখী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে মহান জাতীয় সংসদে গরীব দুখী মেহনতি মানুষের কথা তুলে ধরবেন।